ভাই ক্যাম্পাসের এই নাজুক অবস্থা আর কোনোদিন আগের মত হবে নাকি জানি না । আপনি আমি কিসু বললে দালাল ট্যাগ দিবে, তাই দেখেন চুপ করে বসে বসে।
আরো এইটার সাথে যুক্ত হইসে কিছু থাকে না কিসু একটা হইলেও ঠিক বেঠিক চিন্তা না করে চিল্লানো পাবলিক, ওরা এই কাজরে কঠিন আন্দোলন মনে করতেসে। জুলাই স্পিরিট।
আপনি এক পক্ষের কথা শুনে কেনো ভাই লাফাবেন? আমাদের সময় স্যাররা যতই একটা স্টুডেন্টদের সাথে খারাপ আচরণ করুক, এমন বেয়াদবি কেও করে নাই। ইভেন ছাত্রলীগের ও কারো সাহস হয় নাই ২/১ জন বাদে স্যারদের সাথে এমন আচরণের। আগাগোড়া একটা বেয়াদব জেনারেশন ক্রিয়েট হইসে। সিনিয়র ভাইদের প্রোফাইলে গিয়ে উনাদের ওইফকে পর্যন্ত অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতেসে।
এই ক্যাম্পাসরে ভাই আমরাও অনেক ভালোবাসি। বাট কথা সত্য আমাদের থেকে আমাদের শিক্ষকদের এই ভালোবাসা অনেক বেশি।
এখন পুরো জিনিসটা নষ্ট হয়ে গেছে, ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক সব কিছু। এইটা মাসুদ স্যার গেলেও ঠিক হবে না, থাকলেও সহজে ঠিক হবে না।
আরেকটা কথা বলি ভাই, আমরা সিনিওর হয়ে কি করতে পারতাম? দুই পক্ষ থেকে শুনে ছাত্রদের সাথে আসলে কথা বলে ব্যাপারটা কিভাবে সলভ করা যায় ঐটা করতে পারতাম। আমরা অনলাইনে আন্দোলন দেখসি, সিনিয়রদের কে বলবো আপনার হয়তো মাসুদ স্যাররে ভালো না লাগতে পারে, কিন্তু আপনার তো পরিচিত একজন দুইজন টিচার আছে, ওদের কাছে শুনেন ঘটনা আগে। আপনার বাচম্যাট আসে, জুনিয়র টিচার আছে, উনাদের কাছে শুনেন। না, কিছু কিছু সিনিয়র এমন ভাবে লাফাইতাসে যেন পার্সোনাল কোনো ক্ষোভ ঝারতেসে।
ভাই বলতে চাইছিলাম না, আমার তো মনে হয় আমাদের এক শ্রদ্ধেয় সিনিয়র ভাই নিজের পার্সোনাল ক্ষোভ মিটাইতে প্রেসক্লাবে সবাবেশ সহ করতেসে। ব্যাপারটা কতোটা পার্সোনাল জানি না, বাট হইতে পারে উনি উনাদের ব্যাচের সব থেকে কম সিজিপিএ নিয়ে বের হওয়া পাব্লিক, তাই টিচারদের কোনো কাজ পছন্দ না, ভাই এর আসলে দেখসি কুয়েটের কিসু পছন্দ না আগে থেকে। অথবা ব্যাপারটা আরো পার্সোনাল মাসুদ স্যারের সাথে ।
গরু ব্যবসায়ী ভাই স্যারের কাছে ১.৫ লাখ টাকার গরু ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করসিল, এইটার জন্য স্যারের আব্বা উনাকে ইচ্ছা মতো ঝাড়ি দিসিলো, অপমান করসিল, যে ছাত্র নিজের শিক্ষককে এই কুরবানীর গরুতে ঠকাইতে পারে, ওর কাছে এই নীতি কথা খুব হাস্যকর লাগতেসে। পুরোটা ঘটনায় নিজের রাগ কমানোর জন্য লাফাইতাসে হয়তো বান্দা।
যায় হোক ভাই, খালি এইটা চাইতেসি, স্যার থাকুক আর না থাকুক, নরমাল হউক কুয়েটের পরিবেশ। এখন সব থেকে যেটা জরুরী শিক্ষক ছাত্রদের মাঝে এই কোল্ড ওয়ার এন্ড হওয়া। এইটা ছাত্রদের নিজেদের করা লাগবে ভাই, নইলে এই অচল অবস্হা শেষ হবে না।
আমাদের বাপ মা তাই বুঝে না আমরা কি চাই না চাই, তারপর এই gen z এর চাওয়া পাওয়া তো আমাদের এই স্যারদের বুঝা আসলে কষ্টকর।
উনারা সাভাবিক আপনার আমার মত ভাববে না, কিন্তু এইটা স্টুডেন্টের বুঝে উনাদের সাথে ডিল করা লাগবে, উল্টা এইখানে ওরা বেয়াদবি করতেসে। ঠিক হয়ে যাক ভাই সব কিছু।